জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা ধ্বংসস্তূপ পর্যবেক্ষণ করেছি। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটল, এটা তদন্ত করা দরকার। এটি স্বাভাবিক কেমিক্যাল বিস্ফোরণের ঘটনা নাকি অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড সেটা তদন্তের প্রয়োজন আছে। একটার পর একটা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা অনেকগুলো প্রাণ হারিয়েছি। এটি মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

বুধবার (৮ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গুলিস্তানে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ্রিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর যারা বিশেষজ্ঞ আছে, তারা তদন্ত করে সঠিক ঘটনাটি বের করবে। আমি মনে করি, তারা যথেষ্ট যোগ্য। এগুলো তারা বোঝেন, জানেন এবং সে অনুযায়ী চেষ্টা করছেন, যোগ করেন তিনি। 

ঘটনাটি কেন অন্তর্ঘাতমূলক মনে হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের আগে চূড়ান্ত কোনো কিছু বলার অবস্থা আসেনি। তবে আমি অবাক হচ্ছি বেজমেন্টের একটি বিস্ফোরণে বহুতল ভবনের একাধিক তালা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এটা কি ধরনের বিস্ফোরক, সেটা বের করা প্রয়োজন। এটা অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা নাও হতে পারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং সাইন্সল্যাবে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, এটা কিসের ইঙ্গিত- সেটা ভাল করে বোঝার দরকার। যে যেখানে আছেন, সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কিছু দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে। 

কয়েক বছর আগে আমাদের দেশে বেশ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট হয়ে তাদের ধরেছে। তখন তদন্তে বের হয়েছিল কেউ কেউ এ ধরনের খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজন আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে অবশ্যই নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন আছে। তবে, যারা বিশেষজ্ঞ আছেন, তারাই তদন্ত করে বের করবেন আসল ঘটনা কী।

এমএম/ওএফ