রাজধানীর গুলিস্তান সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকার দলীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই বিস্ফোরণে নাকি রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে! এবং কোনো কোনো রাজনৈতিক বিরোধী মহল নাকি রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সহিংসতা বা এধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে! কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়া এধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে তিনি পৌঁছে গেলেন, এর চেয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য আর কি হতে পারে? একজন সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে এধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য আশা করা যায় না। 

তদন্ত ছাড়াই তারা রাজনৈতিক খেলা শুরু করেছেন। রাজনৈতিকভাবে এধরনের বক্তব্য খুবই বিপদজনক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার সিদ্দিক বাজার নর্থ সাউথ রোডে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের উদ্ধার কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন >> এসব নাশকতা বিএনপি ঘটিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে : কাদের

সাকি বলেন, নর্থ সাউথ রোডে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো, এখানে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা দরকার। কিন্তু সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং যে বিভাগগুলো রয়েছে, যাদের দায়িত্ব ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করার দরকার ছিল। কিন্তু তারা এখন সমন্বয় করতে পারেননি, যেটা একটা ব্যর্থতা, যা সরকারের ব্যর্থতা। 

তিনি বলেন, এটা তো এখন জরুরি পরিস্থিতি। সেখানে তাদের সক্ষম হওয়া দরকার ছিল। না হলে কেন তাদেরকে জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করবো। যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন দরকার। সেটি সম্পর্কে সরকারের উদ্যোগ কী তা জানতে চাই। 

সাকি বলেন, যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, ঢাকার মতো পুরো শহরটাই ভীষণ রকম অনিরাপদ নগরীতে পরিণত হয়েছে। গ্যাস লাইন, সুয়ারেজ লাইন কিংবা বিদ্যুতের মতো ইউটিলিটি সার্ভিসগুলোর কারণে নানা দিক থেকে ঢাকা একটা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। চলন্ত গাড়িগুলোও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।

মগবাজারেও এ রকম একটা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। তখন যদি মগবাজারের বিস্ফোরণের ওই ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হতো, সুষ্ঠু উদ্যোগ নেওয়া হতো তাহলে ধরনের ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হতো। ঢাকা শহরকে মৃত্যুপুরী হওয়া থেকে রোধ করা যেতো। হয় কি? তদন্ত হয় রিপোর্ট প্রকাশ পায় না। বা তদন্তে সুপারিশ বাস্তবায়িত হয় না।

তিনি বলেন, এখন দায়িত্বহীন বক্তব্য না দিয়ে উচিত যথাযথ তদন্তের ব্যবস্থা করা। সুরক্ষার ব্যাপারে নাগরিকদের আশ্বস্ত করা উচিত। নইলে নাগরিকরা হতাশার মধ্যে পড়বেন।

এ ধরণের বিস্ফোরণ, নিরীহ নিরাপরাধ নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়াটা সরকারের ব্যর্থতা দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, অনেক জিনিস পুরোনো হয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনায় পুরোনো ভবন ভাঙ্গা দরকার। নিরাপদ ইউটিলিটি সার্ভিস দরকার। সরকার এই জায়গায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

জেইউ/জেডএস