জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নারী ক্ষমতায়নের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি আরও বলেন, লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব।

বুধবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘ডিজিটাল : ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব)। 
 
ইশরাত জাহান উর্মির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডিকাবের সদস্য আঙ্গুর নাহার মন্টি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাংবাদিক নাফিজা দৌলা।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাস, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস বক্তব্য রাখেন। 

কূটনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য সাবেক কূটনীতিক নাসিম ফেরদৌস ও মাজেদা রফিকুন্নেসাকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় স্পিকার তাদের অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, নারী সাংবাদিকরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এসময় স্পিকার নারী সাংবাদিকদের ককাস গঠন করে কর্মক্ষেত্রের সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। 

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জ্ঞান ও তথ্যই হচ্ছে শক্তি। নারীদের সঠিক তথ্য জেনে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। তিনি নারীদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের সুযোগ রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু নারীদের এগিয়ে নেওয়ার কথা ভেবে সংবিধানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নারী ও পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী সুরক্ষা আইন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নারীবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়ন, ফ্রী- ল্যান্সিং, ই-কমার্স ও অন-লাইন বিজনেসের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দূতাবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ডিকাবের সদস্যরা মূলবান মতামত তুলে ধরেন। এসময় ডিকাবের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।  

সূত্র : বাসস

কেএ