চলতি বছর এমবিবিএস (মেডিকেল) ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পাতিবার (০৯ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শুক্রবার (১০ মার্চ) এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পরীক্ষার জন্য একটি কমিটি রয়েছে, যারা দিনরাত পরিশ্রম করে প্রশ্নপত্র প্রস্তুত থেকে শুরু করে অন্যান্য কার্যক্রম করেছেন। 

তিনি জানান, সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে এবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মোট আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রী এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছেলে ৬৪ হাজার ২৬৪ জন (৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ), মেয়ে ৭৪ হাজার ৯৫৩ জন (৫৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ)। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১২ জন পরীক্ষার্থী। 

আরও পড়ুন : শুধুমাত্র পাস করলেই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি নয় 

সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‍্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা সহযোগিতা দেবেন। পরীক্ষার জন্য যে প্রশ্নপত্র বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে, সে প্রশ্নগুলো কিন্তু আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্র্যাকিং করে থাকি অর্থাৎ নজরদারি আমরা করে থাকি, যাতে কোন রকমের টেম্পারিং না করতে পারে। 

পরীক্ষায় কোন রকমের ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে আসতে পারবে না। বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীদের ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 
 
‘এটাও বলা হয়েছে যে প্রত্যেকটা পরীক্ষার্থীর যাতে কান দেখা যায়। কান ঢাকা চলবে না। কারণ সেখানে গেজেট লাগিয়ে অনেক সময় নকল করার একটি সুযোগ পেয়ে থাকে। সেজন্য আমরা এই কথাটি বলে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া যেগুলো আছে সেগুলোতেও কঠোর নজরদারি করা হবে, যাতে কোনও রকমের রিউমার বা কোন রকমের মিথ্যাচার না করতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। আমরাও রাখবো এবং যারা পুলিশ বাহিনীর দক্ষ ব্যক্তি আছেন; এ কাজটি করে থাকেন, তারাও নজরদারি করবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো ভালো ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে সুযোগ বেশি পায়। এই ৩৩ হাজার কিন্তু মেরিট অনুযায়ীই (নেওয়া হবে)। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম যাতে আরও ভালো হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি৷ 

অটোমেশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন রয়েছে, আমি এটা স্বীকার করি। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপও নিয়েছি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি, তাদের লাইসেন্সও বাতিল করে দিয়েছি।

এসএইচআর/এসএম