মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি দূরদর্শী অভিযাত্রা শুরু করেছেন। এই অভিযান তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৭তম চলমান অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে এসব কথা বলেন তিনি।

সিডো এবং বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এরমধ্যে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রায় ৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা; দেশের অধিকাংশ জেলাগুলোতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা; প্রান্তিক নারীদের ডিজিটাল আর্থিক সেবার জন্য নারী নেতৃত্বাধীন এজেন্ট নেটওয়ার্ক ‘সাথী’ প্রবর্তনসহ অন্যান্য বেশকিছু তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ, প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন এবং এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী সাধারণ বিতর্কের আগে আফগান নারী এবং মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত রিনা আমিরির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং নিউইয়র্কে সফররত প্রতিনিধিদের জন্য সৌদি আরবের স্থায়ী মিশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

এমএইচএন/এসএম