মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে সারা বছরই চাহিদা থাকে মশারি, কয়েল, ইলেকট্রিক ব্যাটসহ নানা ধরনের পণ্যের। তবে এখন মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। গরম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি বেড়েছে এগুলোর। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় কাপড় ও স্টেশনারির দোকানে মশারি বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি মশারির বিক্রি বেশ বেড়েছে বলে জানান দোকানিরা।

কথা হয় ওই মার্কেটের লিপি ফেব্রিক্সের বিক্রয়কর্মী আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সারা বছরই মশারির চাহিদা থাকে। তবে এখন চাহিদা অনেক বেড়েছে। আমাদের এখানে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫শ টাকার মশারি পাওয়া যায়। তবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে থাকা মশারিগুলো বেশি বিক্রি হয়।

আরেক দোকানি সাজ্জাদ হোসেইন বলেন, এখন বিভিন্ন দামের মশারি বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশি চলে ম্যাজিক মশারি। দাম ৩০০ টাকার মধ্যে হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সহজে কিনতে পারেন।

মশারির পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে মশা মারার ব্যাটও (এক ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্র)। মোহাম্মদপুরের শহীদ স্মৃতি পার্ক মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানির মশা মারার ব্যাট বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- ক্লিক, উইদাসি, সিমেক্স, ইয়েস ইত্যাদি। এর মধ্যে ক্লিক ছাড়া বাকি সবগুলো চায়না কোম্পানি। সহজেই মশা মারা যায় বলে ব্যাটগুলো ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

কথা হয় আলম ইলেকট্রনিক্স-এর স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মশা মারার ব্যাট আগে থেকেই ক্রেতাদের পছন্দের। নির্বিঘ্নে মশা মারা যায়। তাই চাহিদা ও বিক্রি দুটোই ভালো। সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকার মধ্যে ইলেকট্রিক ব্যাটগুলো পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যাট কিনতে আসা সোহেল মাহমুদ বলেন, কয়েলের তুলনায় মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট বেশ কার্যকরী। ধোঁয়া বা অন্য কোনো ঝামেলা নেই। সহজেই মশা মারা যায়। যদিও নকল ও কমদামি ব্যাটে বাজার সয়লাব। সেগুলো না কেনাই ভালো।

মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি ও ইলেকট্রিক ব্যাটের পাশাপাশি কয়েলও কিনছেন অনেকে। রাজধানীসহ দেশব্যাপী চাহিদা থাকায় বাজারে অসংখ্য কোম্পানি কয়েল বিক্রি করছে। এর মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে চাইনিজ কয়েল বাউমা ও ড্রাগন। যার মূল্য যথাক্রমে ৯০ ও ১০০ টাকা। এছাড়া এক্সট্রিম, ঈগল, গোদরেজের কয়েলও বিক্রি হচ্ছে।

কয়েলের পাশাপাশি মশা মারার স্প্রে বিক্রিও বেড়েছে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্প্রের মধ্যে এসিআই কোম্পানির অ্যারোসল বেশি বিক্রি হচ্ছে। তারপরেই রয়েছে ভারতীয় স্প্রে হিট। অ্যারোসলের ৪৭৫ ও ৮০০ মিলি গ্রামের দাম যথাক্রমে ৩৯০ ও ৫৯০ টাকা। আর হিটের ৮০০ মিলি বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খান এন্টারপ্রাইজের শামীম আহমেদ বলেন, বাজারে এখন বাউমা কয়েল বেশি চলছে। অনেকক্ষণ ধরে জ্বলে আর ধোঁয়াও কম হয়। আর স্প্রের মধ্যে অ্যারোসল বেশি বিক্রি হয়। হিটের চাহিদা তুলনামূলক কম।

ওএফএ/ওএফ