ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) আড়াই হাজারের মতো নারী পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। নারীদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এসব তথ্য জানান।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. তানিতা হক।

ডিএমপির কমিশনার বলেন, ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার ও উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে শুধুমাত্র নারী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। নির্যাতিত নারীদের মানসিক ও আইনগত সেবাসহ বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে নারী পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশ পুলিশের নারীরা দেশ, মেধা ও যোগ্যতার সক্ষমতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে নারীরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে দেশে নির্দিষ্টভাবে আলাদা করে নারী দিবস পালনের দরকার হবে না। প্রযুক্তিগত লেখাপড়াতেও আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ পুলিশে নারী পুলিশের সদস্যরা এখন ১০ শতাংশ কর্মরত রয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমাদের মেয়েদের মফস্বলে পোস্টিং দিলে যেতে চান না, ঢাকায় থাকতে চান। অনেক ক্ষেত্রে নাইট ডিউটি দিলে নারীরা অনীহা প্রকাশ করেন। এ মানসিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, এসবির উপ-মহাপরিদর্শক আমেনা বেগম, সাবেক ডিআইজি মিলি বিশ্বাস ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

এমএসি/এফকে