প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছি। আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছি।

কাতার সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সবসময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে ছিল, আওয়ামী লীগই প্রথম নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে।

আরো পড়ুন >> ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চলমান আলোচনা অব্যাহত রাখার আহ্বান

তিনি বলেন, কমিশনকে অবাধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাদের নির্ভরশীলতা সরানো হয়েছে।

‘নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাধীন করে দিয়েছি। তাদের পুরোপুরি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করেছি।’

ইভিএম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে ওদের আপত্তি, তাই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ওরা যতটুকু ভালো বুঝে তাই করবে। কারণ, কমিশনকে অবাধভাবে গড়ে তুলেছি। জনগণকে ভোটের অধিকার দিয়েছি, তারা যাকে খুশি ভোট দেবে।’

আরো পড়ুন >> স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা চায় না

‘একটানা ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকার পরিচালনা করছি। দেশে স্থিতিশীলতা রাখতে পেরেছি। এর মধ্যেও কিছু অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু এত দীর্ঘ সময় ছিলাম, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা পারবে না।

আরো পড়ুন >> টাকা দিয়ে অ্যাড কেন দিবে?

তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে কেমন হয়, তা আমরা প্রমাণ করে দেখিয়েছি। এর মধ্যে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে। এগুলো মোকাবিলা করে আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। মানুষের প্রতি যে কমিটমেন্ট আমাদের ছিল, সে জায়গায় অনঢ় ছিলাম বলেই উন্নয়ন করতে পেরেছি। 

এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা

এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটেছে। এখনও ঘটছে। এসবের জন্য সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তবুও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

‘আমাদের সাময়িক কোনো সমস্যা হলে জনগণ তা মোকাবিলা করবে। ১৯৭৫-এর পর এখন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক ভালো। এখন ভোট চুরির সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা করেছি। সিল মেরে ব্যালট ভরার সুযোগও নেই।’

বাংলাদেশকে রোল মডেল মনে করে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক সময় বাংলাদেশকে অনেকে দুর্ভিক্ষ, বন্যাকবলিত দেশ ছিল মনে করতো। আর এখন বাংলাদেশকে রোল মডেল মনে করে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করে করতে পেরেছি, সে কারণে স্থিতিশীলতা আনতে পেরেছি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, অগ্নিসন্ত্রাস এসেছে। অনেক ঝামেলা মেটাতে হয়েছে। তারপরও একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নয়ন করাটা সম্ভব হয়েছে।  

এমজে