আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিখ্যাত পরিবেশবাদী নেতা ভারতীয় নাগরিক বন্দনা শিবার কর্মকাণ্ডের ওপর নির্মিত ‘দ্যা সিডস অব বন্দনা শিবা’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানী বনানীর বেঙ্গল ইনস্টিটিউটে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নো পাসপোর্ট ভয়েস  ও বেঙ্গল ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মানবাধিকার কর্মী ও  নো পাসপোর্ট ভয়েসের উন্নয়ন কর্মকর্তা হোচেমিন ইসলাম  সংস্থাটির পক্ষে  প্রামাণ্যচিত্রটির কমিউনিটি স্ক্রিনিংয়ের লাইসেন্স অর্জন করেছেন। পর্যায়ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ  এই তথ্য চিত্রটি  বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্পোরেশনে  প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে নো পাসপোর্ট ভয়েস।  

প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নো পাসপোর্ট ভয়েসের ফাউন্ডার ব্যারিস্টার ফাতিমা ওয়ারিথা আহসান। উপস্থিত ছিলেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কসোভার রাষ্ট্রদূত গুনের উরিয়া, সমাজকর্মী খুশি কবির, চিত্রশিল্পী ফারিয়া জেবা বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. খালিদ আশরাফ,পরিবেশক গবেষক ও বিচারক মাসরুর সালেকীন।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের    পরিচালক( রিচার্স ও ডিজাইন) নুসরাত সুমাইয়া। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আক্তার, চলচ্চিত্রকার দিনা হোসেন, কানাডা ভিত্তিক রিসার্চার ফিরোজ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্য তরুণ লিঙ্গ কর্মী এবং সমাজ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, বন্দনা শিবা পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের অনুপ্রেরণা। পরিবেশ সুন্দর রাখতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকাই কষ্টকর হবে। বিশ্বায়ানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে বাংলাদেশে কয়েকজন বন্দনা শিবার মত ব্যক্তিত্ব প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে বন্দনা শিবার জীবনী অনুপ্রেরণা যোগাবে।

বন্দনা শিবা একজন বিখ্যাত পরিবেশবাদী নেতা এবং পরিবেশ নারীবাদের গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক। পাশাপাশি তিনি Research Foundation on Science, Technology, and Ecology-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বন্দনার বীজ সংরক্ষণ আন্দোলন এগিয়ে নিতে নবদানা (Navadanya) নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি Alternative Nobel Peace Prize এবং Sydney Peace Prize-সহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহ হলো, The Violence of the Green Revolution (1991), Biodiversity (1992), Monocultures of the Mind (1993), Biopolitics (1995) ইত্যাদি। 

শিবা বর্তমানে দিল্লিতে বসবাস করেন, তিনি ২০টিরও অধিক বই লিখেছেন।

এমএইচডি/এসকেডি