কল্যাণপুর রেগুলেটিং পন্ডের ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা ও অবকাঠামো উচ্ছেদ করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধা ও ধাওয়ার মুখে পড়তে হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তাদের।

সোমবার (২০ মার্চ) দিনব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে প্রথমে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন। পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ধাওয়াসহ বিভিন্নভাবে অভিযান বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেন। তাদের ধাওয়ায় এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পা গর্তে পড়ে আঘাত পান। সেখানে থাকা অর্ধশতাধিক বস্তিঘর, দোকানের লোকেরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারেন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা ওই সময় উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারি যানযন্ত্রের মধ্যে দুইটি ব্যাক হোলোডার, একটি পেলোডার এবং একটি ডাম্প ট্রাক ভাঙচুর করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুন >>> উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত ডিএনসিসির এক একর জায়গা

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জানান, অভিযান শুরু হলে দখলদাররা সংঘবদ্ধ হয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ বাধা প্রদানকারীদের প্রতিহত করে। এসময় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ও ঘর থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় দেওয়া হয়। মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পুরো এক একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, অভিযানে ডিএনসিসির মালিকানাধীন কল্যাণপুর রেগুলেটিং পন্ডের ভূমি থেকে অন্তত অবৈধ ৩০টি দোকান, ২০টি ঘর ও ২টি রিকশার গ্যারেজসহ অবৈধভাবে রাখা বিভিন্ন মালামাল উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম বলেন, এ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। বিভিন্ন সময় তাদের নোটিশ দিলেও তারা সাড়া দেননি। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ডিএনসিসির মালিকানাধীন এ ভূমির অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর জায়গা দখলমুক্ত করেছি। অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।

এএসএস/এফকে