কাচ্চি বিরিয়ানি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনের বিরিয়ানিতে খাসি ছাড়া ভিন্ন প্রাণীর মাংস ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছিল, সে অভিযোগের কোনো দায় নেবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ প্রসঙ্গে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ উঠেছিল তখন প্রতিষ্ঠান আমাদের সমিতির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই সে প্রসঙ্গে আমরা কোনো দায় নেবো না।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি, রমজানে রেস্তোরাঁয় ন্যায্যমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি, বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণা এবং সরকারি সংস্থার অভিযানের নামে হয়রানি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

ইমরান হাসান বলেন, সুলতান’স ডাইন অনেক বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু ঘটনার সময় তারা আমাদে মেম্বার ছিল না। ৩-৪ দিন আগে তারা আমাদের মেম্বার হয়েছে। যেহেতু তখন তারা আমাদের মেম্বার ছিল না, তাই সেই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। আমরা সবসময় আমাদের সদস্যদের বিষয়ে কথা বলি। আমরা আমাদের সদস্যদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করি, আমরা তাদের অনেস্টি ডেভেলপ করি। কিন্তু যারা আমাদের মেম্বার না তাদের বিষয়ে আমরা কনসার্ন না। 

তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার সায়েন্স ল্যাব থেকে একটি টেস্ট করিয়েছে এবং যে অভিযোগকারী তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেদিন ভোক্তা অধিকারের যে ভূমিকা ছিল সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। তারা যেভাবে হেনস্তা করেছে সেটি তাদের কাছ থেকে কাম্য নয়। তারা আমাদেরকে ডাকতে পারতো, আমরা যেতে পারতাম। এখানে এক্সপার্টদের আনা যেত। অবশ্যই যদি কেউ এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে তবে সরকারি আইনে যেটা হয় আমরা পাশে থাকবো। কিন্তু অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা নই। সুলতান’স ডাইন আমাদের মেম্বার ছিল না। এই ঘটনার পরে তারা আমাদের মেম্বার হয়েছে। আমরা এখন তাদেরকে বলবো তারা কীভাবে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করবে। আমরা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি তাদেরকে সাহায্য করবো।

এমএইচএন/জেডএস