ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং ব্রিটিশ হাইকমিশন (বিএইচসি) যৌথভাবে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিগত এক দশকে দেশে প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ, নবজাতক এবং শিশুমৃত্যু রোধে অগ্রগতির এক দশক উদযাপন করেছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইউএসএআইডি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটি জানায়, ২০১২ সালের কল টু অ্যাকশন ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যা মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় নাটকীয় অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। বাংলাদেশে দশ বছর আগে ‘কল টু অ্যাকশন’ ঘোষণা করার পর, সরকার পূর্ববর্তী শিশুমৃত্যুর হার কমানোর সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিরোধযোগ্য শিশুমৃত্যু রোধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

ইউকে-এর ২০২১ ‘অ্যান্ডিং প্রিভেনটেবল ডেথস অব মাদারস, বেবিস অ্যান্ড চিলড্রেন অ্যাপ্রোচ’ এবং ইউএসএআইডি-এর ‘গেটিং টু ২০৩০: ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন টেকনিক্যাল রোডম্যাপ’ এবং তাদের বার্ষিক ‘অ্যাক্টিং অন দ্য কল রিপোর্ট’ অনুযায়ী ইউএসএআইডি এবং বিএইচসি উভয়েই এটিকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও, পেশাজীবী সংস্থার কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বিএইচসি ঢাকার ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য শক্তিশালী মিত্র এবং আমরা বাংলাদেশের জন্য আরও নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর উন্নয়ন সহযোগী হতে যাচ্ছি।

ইউএসএআইডির বাংলাদেশ অফিসের ডেপুটি অফিস ডিরেক্টর, অফিস অব পপুলেশন, হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন মারভিন ক্রেসপিন-গেমেজ বলেন, একত্রে কাজ করে আমরা দেখেছি যে কিভাবে বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে প্রতিরোধযোগ্য মা ও নবজাতকের মৃত্যু রোধ করার প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রচেষ্টা জোরদার করে আসছে।

এনআই/এফকে