রাজধানীর আদাবরে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা একটি বিকৃত যৌনাচার বলে মন্তব্য করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচএম আজিমুল হক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিএনজিচালক সেলিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে আদাবর থানা পুলিশ।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১৪ মার্চ রাতে শিয়া মসজিদ এলাকায় ওই শিশু এবং তার দুই বোনের সঙ্গে পরিচয় হয় সিএনজিচালক সেলিম ও আরেকজনের। পরে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমের দুই বোন চলে গেলে শিশুটিকে প্রলোভনে ফেলে আদাবর উড়াল পাখি লেগুনা স্ট্যান্ডের একটি শৌচাগারের ভেতর নিয়ে যায় সেলিম। তারা সেখানে শিশুটিকে গণধর্ষণ করে। এতে ওই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে বের হয়ে শিশুটি তার বোনকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।

পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করে। আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। এ ঘটনায় আদাবর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনার পর আমরা ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে একটি সিএনজি ও তার চালককে শনাক্ত করি। পরে তাকে বাড্ডার সাতারকুল থেকে সিএনজিসহ চালক সেলিমকে গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিশুটি এখন আগের চেয়ে একটু ভালো আছে। আমরা বলতে চাই, এটি একটি বিকৃত যৌনাচার। অবুঝ এই শিশুটিকে যেভাবে তারা ধর্ষণ করেছে তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আজ সেলিমকে আদালতে পাঠিয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আজিজুল হক, আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের ও আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. নজরুল ইসলাম।

এসএএ/ওএফ