সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমি মারাত্মক চেইন স্মোকার ছিলাম। ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া সারাক্ষণই ধূমপান করতাম। ২০০৩ সালে যে ধূমপান ছেড়েছি, বিগত ২০ বছরে আর সেটি ছুঁয়েও দেখিনি। মহান আল্লাহর রহমতে এরপর থেকে বেশ সুস্থ আছি।

বুধবার (২২ মার্চ) ধানমন্ডিতে আয়োজিত 'ঢাকা আহছানিয়া মিশন তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২২' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ধূমপানের ফলে বুক ধড়পড়, হাঁচি-কাশিসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতাম। ধূমপানের ভয়াবহ পরিণতি হিসেবে সর্বশেষ ২০০৩ সালের দিকে হৃৎপিণ্ডে ৬৭% ব্লক ধরা পড়ে। পরে ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে সে যাত্রা রক্ষা পাই।

তামাক একটি মরণ নেশা এবং ভয়াবহ ব্যাধি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তামাক শুধু মৃত্যুর কারণ নয়, তামাক সেবনে অসংক্রামক রোগ বিশেষ করে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। অল্প বয়সে রোগাক্রান্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে তামাক সেবনকারীরা। তরুণ ও যুব সমাজসহ সবাইকে এ ভয়াবহ নেশা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

কে এম খালিদ বলেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের তাদের লেখনীর মাধ্যমে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। ঢাকা আহছানিয়া মিশন কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২২ প্রদান একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ ও প্রশংসার যোগ্য। এর মাধ্যমে সাংবাদিকরা তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আরো নতুন নতুন রিপোর্টিংয়ে আগ্রহী ও উৎসাহী হবেন বলে আমি মনে করি।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ ও রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর।

তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও তামাক কর বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘ঢাকা আহছানিয়া মিশন তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছেন চার সাংবাদিক। তারা হলেন- প্রিন্ট মিডিয়া বিভাগে ডেইলি বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার পিংকি আক্তার, অনলাইন মিডিয়া বিভাগে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের স্টাফ করেসপনডেন্ট সোলায়মান হাজারী ডালিম, টিভি রিপোর্টিং বিভাগে ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তাহসিনা সাদিক এবং মোহনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শামিমুজ্জামান চৌধুরী।

ওএফএ/এমজে