বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি পলিসি আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ধানমন্ডির সিপিডি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এদিন 'নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২২ (খসড়া): এটি কি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবে?' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি পলিসি-২০২২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান বিদ্যুৎ খাতে যে সংকট রয়েছে তা অনেকটাই কমে যাবে। বিদ্যুৎ খাতে অদূরদর্শী ও ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের ওপর এখন বিশাল পরিমাণ ভর্তুকির চাপ। আর ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে তা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ভোক্তাদের ওপর।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে গৃহীত নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির যে নতুন খসড়া (নবায়ন জ্বালানি নীতি-২০২২) তৈরি হয়েছে, এতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন ও বিস্তারে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। যা মূল নীতির চাইতে আরো বেশি বিস্তারিত এবং নতুন প্রস্তাবনা সমৃদ্ধ। তবে একইসঙ্গে মূল এবং খসড়া নীতির কিছু সিদ্ধান্তে সাংঘর্ষিকতা রয়েছে।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন পলিসিতে বায়ু, বিদ্যুৎ,বায়োম্যাস এনার্জি, ওয়েস্ট টু ইলেকট্রিকাল এনার্জি, হাইড্রো এনার্জি বিষয়ে মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে- জিওথার্মাল এনার্জি, টাইডাল এনার্জি, ওয়েভ এনার্জি, রিভার কারেন্ট, হাইড্রোজেন এনার্জি ইত্যাদি। এছাড়া পলিসির প্রথম দফায় ২০২৫ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা সামগ্রিক উৎপাদনের ১০ শতাংশ। এছাড়া ২০২৬-২০৪১ সালে ৬৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা উৎপাদনের ২০ শতাংশ এবং ২০৩১-২০৪১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা উৎপাদনের ৪০ শতাংশ। কিন্তু ২০০৮ সালে গৃহীত পলিসির আওতায় সামগ্রিক উৎপাদনের ৮ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এটা পলিসির ব্যর্থতা।

তিনি আরও জানান, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির পলিসিতে পিছিয়ে রয়েছে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানিকে নিরুৎসাহিত না করা হলে এই পলিসির মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তার করা সম্ভব নয়।

ওএফএ/এমজে/এনএফ