গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নগরের পাহাড়তলি বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে চসিকের কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মেয়র।

এসময় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ বধ্যভূমিতে অসংখ্য নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা দেখো পাকিস্তান আজ দেউলিয়াত্বের পথে। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। 

দিন দিন পাহাড়তলি বধ্যভূমি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, হীনস্বার্থে ভূমিখেকোরা জায়গা দখল করতে করতে পাহাড়তলি বধ্যভূমিকে সংকুচিত করে ফেলেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। আমি মুক্তিযোদ্ধা এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলব। 

তিনি বলেন, আমি প্রশাসন, নেতাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি যাতে পাহাড়তলি বধ্যভূমিকে সম্প্রসারিত করে এমনভাবে ঢেলে সাজানো যায়, যাতে জনগণ এখানে এসে মুক্তিযুদ্ধে চেতনার উপলব্ধি নিতে পারে। চট্টগ্রামের অন্য যেসব বধ্যভূমি বেদখল হয়ে আছে সেগুলোও উদ্ধার করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।

রেজাউল করিম বলেন, যারা একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই এখন বধ্যভূমি দখল করছে। ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এ হায়েনাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে লড়তে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. জহুরুল আলম জসিম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, মো. আবদুস সালাম, পুলক খাস্তগীর, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা। 

এমআর/এফকে