২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও একাত্তরে গণহত্যায় জড়িত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (২৫ মার্চ) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজিত হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কানিজ ফাতেমা, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইউজেড প্রিন্স, শহীদ পরিবারের সন্তান নাজনীন প্রমুখ। 

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, আজ ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী অন্যায়ভাবে নিরীহ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নৃশংস গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালিয়েছিল। স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ বাঙালিকে গণহত্যা ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করার অপরাধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো বিচার হয়নি। জাতিসংঘের কাছে দাবি, অবিলম্বে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একাত্তরে নৃশংস গণহত্যায় জড়িত পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাঙালির ইতিহাসের কালরাত ভয়াল ২৫ মার্চ। নিরীহ বাঙালির ওপর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো বর্বর গণহত্যার ভয়াবহ স্মৃতিজড়িত ইতিহাসের এক অধ্যায়। ১৯৭১ সালে চীনের সরবরাহকৃত চায়নিজ রাইফেল ব্যবহার করে পাকিস্তান আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাষ্ট্র চীন ও পাকিস্তান এখনো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। একাত্তরে গণহত্যা ও গণধর্ষণের অপরাধে পাকিস্তান ও চীনকে বাংলাদেশের কাছে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা এদেশের মানুষ কখনোই ভুলবে না।
 
ওএফএ/এমএ