বিশ্বের ইতিহাসে এত কম সময়ের মধ্যে এত বেশিসংখ্যক লোককে হত্যা করার নজির নেই মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যার সেই নৃশংসতার নজির সৃষ্টি করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, উৎখাত, উৎপীড়নসহ একটি জাতিকে বিপন্ন করার সব চেষ্টাই তারা করেছে। 

>>৭ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসেও এক মহিমান্বিত দিন : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর ৫২ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই নৃশংসতার ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে জাতিসংঘ আজও স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তবে বিষয়টি সহজ নয়, কারণ অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র ওই সময়ে পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়েছিল। 

>>২০২৪ সালের মার্চ মাসে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ হবে

বাংলাদেশ এ বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি। 

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

>>মুক্তিযুদ্ধের সব তথ্য সঠিকভাবে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার প্যাট্রিক বারজার্স। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

এসএইচআর/এমএ