রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ঢাকা শিশু হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মামুন। তিনি মিরপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মামুনকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করেছে হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।

নিহত মামুনের ভাই মাসুদ রানা অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই মা, তার স্ত্রী ও তার সন্তানকে নিয়ে দুপুরে শিশু হাসপাতালে যায়।পরে সে সবাইকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমি খবর পেলাম আমার ভাই মারা গেছে। খবর পেয়ে এসে শুনি শিশু হাসপাতালের আনসার ও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভাররা আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পরে পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। আমি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। এরইমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুনতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, আমার ভাই পেশায় একজন চা বিক্রেতা ছিলেন। সবাই বলছে আমার ভাই নাকি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সে যদি মানসিক সমস্যায় ভোগে তাহলে সে চায়ের দোকান কীভাবে চালায়। তার দুটি সন্তান রয়েছে। আমরা মামলা দায়ের করেছি ঠিকই, কিন্তু এজাহারে আনসার সদস্যদের কথা উল্লেখ করেনি। আমার ভাই যদি কোনো কিছু করেও থাকে তাহলে সেজন্য আইন আছে। তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করতে হবে, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

এ বিষয়ে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এএসএম আল মামুন বলেন, নিহত মামুন মিরপুরের পল্লবী এলাকার বাসিন্দা। সে একজন চা বিক্রেতা ছিল। রোববার সকালে সে শেরে বাংলা নগর এলাকায় একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা শেষে দুপুরের দিকে শিশু হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় তাকে চোর সন্দেহে মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মামুন মারা যায়।

এ বিষয়ে শেরে বাংলানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, শুনেছি গণধোলাইয়ে ওই যুবক মারা গেছে। তবে এখনই কিছু বলা যাবে না। আমরা কাজ করছি, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এমএসি/এসএএ/জেডএস