র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে মারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি পুলিশের অন্য কোন ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করতে বলেছে সংস্থাটি।

সোমবার(২৭ মার্চ) রাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের’ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদন মতে- নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র‍্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন- র‍্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যু

গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় থেকে ঐ নারীকে আটক করা হয়। গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কমিশন মনে করে, হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা একটি মারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গণমাধ্যমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ কর্তৃক ‘র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নারী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান’ সংক্রান্ত প্রকাশিত বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অনভিপ্রেত।

তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না এবং কীভাবে মৃত ব্যক্তির মাথায় আঘাত লেগেছে তা তার জানার কথাও নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত ব্যক্তির পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক মর্মে প্রতীয়মান হয়। যা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে। এমতাবস্থায় হেফাজতে মৃত্যু সংক্রান্ত বর্ণিত অভিযোগের বিষয়টি র‍্যাব বাদে পুলিশের অন্য কোন ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।

জেইউ/এমজে