রমজান মাস শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় কর্মদিবস আজ। গতকালের মতো আজও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে রয়েছে যানবাহন। যানজটের সীমাহীন পরিস্থিতি দেখে বাসায় ইফতার করতে বাস থেকে নেমে রাস্তায় হেঁটে রওনা হয়েছেন অনেকে। আবার যাদের বাসার গন্তব্য দূরে, তারা বাসে বসে যানজট ছাড়ার অপেক্ষা করছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে রাজধানীর গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা, পল্টন, শাহবাগ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর বাড্ডা থেকে গুলশান গুদারাঘাট পর্যন্ত ধীরগতি যানচলাচল চলছে বিকেল ৪টা থেকে। আর গুদারাঘাট থেকে গুলশান সিগনালে প্রায় ৪৫ মিনিট পর পর গাড়ি ছাড়া হচ্ছে অতিরিক্ত চাপের কারণে। গুলশানের এ গাড়ির চাপ মহাখালী এলাকা পর্যন্ত ছাড়িয়েছে। দীর্ঘ এ যানজট দেখে বাস থেকে মানুষজন হেঁটে রওনা হয়েছেন বাসার দিকে।

তাদের মধ্যেই একজন মো. ইমন। তিনি উত্তর বাড্ডা থেকে বাস দিয়ে মহাখালী যাচ্ছিলেন। কিন্তু গুলশান এলাকার যানজট দেখে পায়ে হেঁটে বাসায় ইফতার করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তিনি বলেন, উত্তর বাড্ডা থেকে ১ ঘণ্টায় গাড়ি গুলশানে গুদারাঘাট সিগনালে এসেছে। এরপর গাড়ি আর এগোচ্ছে না। পরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই হেঁটে রওনা দিয়েছি।

এদিকে কুড়িল থেকে মোহাম্মদপুরগামী বিআরটিসির দুইতলায় বাসে আছেন মো. হানিফ। তিনি বলেন, আমাকে আজ হয়তো রাস্তাতেই ইফতার করতে হবে। আমি তো এখন গুদারাঘাট থেকে হেঁটে মোহাম্মদপুর যেতে পারব না। এখন বাজে সাড়ে ৪টা, ইফতারের আগে বাসায় ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।

এ বিষয়ে বনানী ও বিমানবন্দর সড়কের যানজট নিয়ে ডিএমপির ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি)  মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ অনেক বেশি। তবে গুলশান এলাকায় গাড়ি চলছে। গতকালের থেকে আজ অবস্থা কিছুটা ভালো।

অন্যদিকে প্রগতি সরণি হয়ে রামপুরাগামী রাস্তায়ও রয়েছে গাড়ির ব্যাপক চাপ। রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী ভিক্টর পরিবহনের চালক সাইফুল মিয়া বলেন, রাস্তায় গাড়ি অনেক বেশি। ইফতারের আগ মুহূর্তে প্রতিবারই এমন হয়। তবে এখন কিছুটা কম আছে। ১০ রোজার পর রাস্তায় গাড়ির চাপ আরও বাড়বে।

রামপুরা হয়ে কমলাপুরগামী বাসের যাত্রী মো. রিপন খান বলেন, রাস্তায় যানজট নিরসনে রোজার মাসের ডিএমপির কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। বিকেল ৪টায় গাড়িতে উঠেছি, ৫টা বেজে যাচ্ছে কিন্তু রামপুরা পাড় হতেই পাড়লাম না এখনো। কিভাবে বাসায় যাব জানি না। ইফতার তো আজ মনে হচ্ছে সিগনালে বসেই করতে হবে।

এমএসি/এফকে