রমজান মাসে রাজধানীর প্রায় সব অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও ব্যস্ত সড়কের ফুটপাতে চোখে পড়ে মৌসুমি ইফতারির দোকান। ফুটপাতে এসব দোকানের ক্রেতা মূলত আশেপাশের দোকানি, পথচারী ও পাড়া মহল্লার মানুষ। বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই মৌসুমি ব্যবসায়ী। 

জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন সময় নানা পেশায় যুক্ত থাকেন তারা। রমজান মাসে শুরু করেন বিভিন্ন ইফতারি পণ্য বিক্রি।এবার অলি গলি, পাড়া মহল্লাতেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতার সামগ্রী। তবে যেসবের দাম বাড়েনি আগের দামেই আছে, সেগুলোর সাইজের পরিবর্তন হয়েছে।

মৌসুমি ইফতারির দোকানগুলোতে দেখা গেছে, পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোটা পাকুড়া প্রতি পিস ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরও ৫ টাকায়ই বিক্রি হয়েছে। তবে এ বছর সাইজ পরিবর্তন হয়ে কিছুটা ছোট হয়েছে। এছাড়া গত বছর যারা অন্যান্য সব কিছুর সঙ্গে ইফতারিতে ২০ টাকার ছোলা নিতেন, তারা এবারও ২০ টাকার ছোলা নিচ্ছেন কিন্তু তাদের ছোলার পরিমাণ গতবারের চেয়ে কমেছে।

অন্যদিকে ইফতারির অন্যান্য উপকরণ হিসেবে পথের পাশের জিলাপি, বুন্দিয়ার দামও প্রতি কেজিতে এবার কমপক্ষে ৫০ টাকা বাড়িয়েছেন দোকানিরা। এছাড়া তেল, গ্যাসসহ অন্যান্য সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমের চপ, আলুর চপ, হালিমের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে।

রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারে ইফতার সামগ্রীর দোকানি ইয়াসিন আলী বলেন, আমার মূলত হোটেলের ব্যবসা। তবে প্রতি বছর রোজায় ইফতার সামগ্রী বিক্রি করি। গত বছর বুন্দিয়া বিক্রি করেছি ১৫০ টাকা কেজি। এবার তেল, গ্যাস, ময়দা, বেসন, চিনির দাম বেশি হওয়ার কারণে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া জিলাপি গত বছর ১৬০ টাকা ছিল এবার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজু, বেগুনির দাম আগের মতো ৫ টাকাই আছে। সাইজে কিছুটা ছোট হয়েছে।  

একই এলাকার দোকানে ইফতার কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ইদ্রিস আলী বলেন, অফিস থেকে ফেরার পথে ইফতার নিয়ে প্রতিদিন বাসায় যাই। এবার ফুটপাত, পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতেই ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়েছে। বেগুনি পেঁয়াজুর সাইজ ছোট হয়েছে। আলুর চপ, ডিমের চপ, জিলাপি, বুন্দিয়া এসবের দাম বেড়েছে। গতবার যেসব কিনতাম এবারও সেসবই কিনছি, কিন্তু এবার হয় দাম বেশি, নয়তো সাইজ ছোট হয়েছে।

এএসএস/এসকেডি