চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙরে থাকা এমভি ক্যাং হুয়ান জাহাজ থেকে নিরাপত্তা মহড়ার সময় একটি লাইফবোট বঙ্গোপসাগরে পড়ে যায়। ওই লাইফবোটে থাকা ১৬ জনের মধ্যে ১৫ নাবিককে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছেন এক নাবিক।

আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, জাহাজে থাকা লাইফবোট প্রতি মাসে পরীক্ষা করতে সাগরে নামাতে হয়। এরকম পরীক্ষা চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ নাবিকের নাম ঝাং মিনইয়ান (৪২)। তিনি চীনের নাগরিক এবং এমভি ক্যাং হুয়ান জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বন্দরের আলফা অ্যাংকরেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরের দিন বুধবার দিবাগত রাত পর্যন্ত নিখোঁজ নাবিককে পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করছে। যদিও তার জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌবাণিজ্য দপ্তর। তাদেরকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা করতে জাহাজ থেকে লাইফবোট সাগরে নামানো হচ্ছিল। দুর্ঘটনাবশত এটি সাগরে পড়ে যায়। এতে করে ওই লাইফবোটে থাকা ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা করা হয়। নিখোঁজ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। যদিও জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। মরদেহ ভেসে উঠলে হয়তো পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, লাইফবোটটি ফুল লোড ছিল। এ ধরনের পরীক্ষা করতে সাগরে নামানোর সময় ফুল লোড থাকা উচিত না। লাইফবোটে ১৬ জন ছিল, যেখানে ২-৩ জনের বেশি থাকা উচিত না। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এমআর/ওএফ