বিএসপিপির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং পত্রিকাটির সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থি বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। একইসঙ্গে ডিজিটাল আইনসহ সব কালো কানুন বাতিলের দাবি জানায় সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিএসপিপির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে।

তারা বলেন, যেখানে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই, সেখানে সাধারণ নাগরিকের অবস্থা যে কতটা ভয়াবহ তা সহজে অনুমেয়।

বাংলাদেশের গণমাধ্যম চরম দুর্দিন অতিক্রম করছে বলে উল্লেখ করে সংগঠনের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, সরকার, সরকারি দল, আমলাতন্ত্র এবং প্রভাবশালী মহল গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, গ্রেফতার, সাংবাদিক হত্যা, ঠুনকো অজুহাতে গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় অন্তত ৫৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল ২০১২ সালে। এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরে থাক, তদন্তেও অগ্রগতি নেই।

সাংবাদিক নির্যাতনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলেও দাবি করেন তারা।

বিএসপিপির দুই নেতা আরও বলেন, ভিন্নমত ও সরকারের সমালোচনা দমনে এই আইনের নজিরবিহীন অপপ্রয়োগ চলছে। এই আইনে অভিযুক্তরা যখন আদালতে যাচ্ছেন, তখন তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না। নিপীড়নমূলক এই আইনের ১৪টি ধারাই যেহেতু জামিন অযোগ্য, তাই এটা একটা সাংঘাতিক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালো কানুন বাতিল এবং সরকারকে নিপীড়নের পথ পরিত্যাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান বিএনপিপন্থি এই পেশাজীবী সংগঠন।

এএইচআর/এমজে