ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এই আইনে আটক সকলের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। শনিবার (১ এপ্রিল) এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, র‌্যাবের হেফাজতে নওগাঁয়ের সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।

মানববন্ধনে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এই আইনে আটক সকলের মুক্তির দাবি জানাই। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সরকারের তো কথা শুনবে না। এই সরকার কথা শোনার সরকার নয়।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের গ্রেপ্তার দাবি করেছে এবং সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিচার চায়। কিন্তু তাদের বিচার কে করবে? শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নিজামুল হক ভূইয়ার নাকি শিক্ষক হওয়ারই যোগ্যতা নাই। এসব লোকদেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ভিসি, প্রক্টর বানানো হচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে এ সরকারের পদত্যাগ চাই এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, সরকার ভিন্নমত দমনের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। গণমাধ্যম যাতে সত্য প্রচার না করতে পারে তার জন্যই মূলত প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছে এবং সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠিয়েছে। অপরদিকে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণের ওপর দমন পীড়নের মাত্রা দিনকে দিন বাড়িয়েই যাচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসেন, শাকিলউজ্জামান, ড. মালেক ফরাজী, ড. মাহবুবুর রহমান, পাঠান আজহার ,যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুজ জাহের, তারেক রহমান, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, হোয়াইচিং মংচাক প্রমুখ।

এইচআর/ওএফ