বঙ্গবাজার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এনেক্সকো টাওয়ারের ৫ম ও ওপরের তলায় পানি ছেটানো অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। এরইমধ্যে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম তলা থেকে নিচে একের পর এক ফেলা হচ্ছে বস্তা। অগ্নিকাণ্ডের পর অবশিষ্ট কাপড়সহ যেসব মালামাল রয়েছে মূলত সেগুলোই বস্তায় করে নিচে ফেলা হচ্ছে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবাজারের এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, কাপড়ের সারি সারি এসব বস্তা রাখা হয়েছে রাস্তায়। একটু পরপর কর্মীরা ওপর থেকে মালামাল ভরে নিচে ফেলছেন। আর নিচে দোকান মালিকদের কেউ ভ্যান নিয়ে, কেউ পিকআপ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন।

এনেক্সকো টাওয়ারের ৩য় তলায় কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার আলমাছ আলী বলেন, মার্কেটটিতে গার্মেন্টস প্রোডাক্ট আর শাড়ির দোকান বেশি। সবই তো পুড়েছে অনেকের, আবার কারও কারও কিছু মাল অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তাই সবাই তাদের অবশিষ্ট মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। কর্মীরা এসব মালামাল বস্তায় ঢুকিয়ে নিচে ফেলছে। আর নিচ থেকে সেগুলো সংগ্রহ করে ভ্যান, পিকআপে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মার্কেটটিতে দোলন হাউজের কর্মী তুহিন আহমেদ বলেন, যেহেতু ৪/৫তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে মালামাল নামানো যাচ্ছে না, তাই উপর থেকেই বস্তায় ভরে সরাসরি রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। উপরে শুধু ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। এরইমধ্যে লোকজন উপরে উঠে নিজেদের পোড়া মালামাল ছাড়া যে পণ্য কিছুটা ভালো আছে মূলত সেগুলোই নামিয়ে নিচ্ছেন।

নিচে অপেক্ষমাণ মার্কেটটির এক দোকানের কর্মী ফয়সাল হাসান বলেন, আমাদের দোকানের কর্মীসহ শ্রমিকদের সমন্বয়ে মালামাল গোছানো হচ্ছে ৫তলায়। উপরে এখনও ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে আছে। এরইমধ্যে অবশিষ্ট মালামাল গুছিয়ে বস্তায় করে নিচে ফেলা হচ্ছে। আর নিচে আমরা অপেক্ষা করছি এগুলো ভ্যানে করে অস্থায়ী এক জায়গায় নিয়ে যাবো। রাস্তার ডিভাইডারের উপরে এমন শত শত বস্তা জমা করেছেন বিভিন্ন দোকান মালিকরা। পরে এগুলো ভ্যান বা পিকআপে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ আগুনে বঙ্গবাজারসহ আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

এএসএস/জেডএস