বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ধোঁয়া বন্ধ করতে পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এদিকে আজও উৎসুক জনতা ভিড় করছেন বঙ্গবাজার এলাকায়। আলোচনায় বারবার ঘুরে ফিরে আসছে অগ্নিকাণ্ডের কথা।

বুধবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া অবশিষ্ট অংশগুলো থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণের লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট এখনো কাজ করছে।

ধ্বংসস্তূপ দেখতে বঙ্গবাজার এলাকায় সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পরিচিত জন। তাদের আলোচনায় অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার কথা উঠে আসছে। 

আজ উৎসুক জনতাকে আটকাতে কোনো বাধা দেয়নি পুলিশ। বঙ্গবাজারের উল্টো দিকের ফায়ার সার্ভিস হেড স্টেশনের সামনের রাস্তার দুই পাশে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। 

কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্য জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এখানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ আগুনে বঙ্গবাজারসহ আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

ওএফএ/কেএ