তিনটি সংস্থা থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি সিদ্ধেশ্বরীর লিলি প্লাজা ভবনের মালিকরা। সরকারের চাপে ২০২২ সালে ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণে ভিভো বিল্ডার্সের সঙ্গে চুক্তিও হয়। টাকারও লেনদেন হয়। কিন্তু ভবনটি ভাঙতে না দিয়ে উল্টো মালিকপক্ষ মার্কেট হিসেবে কয়েকটি ফ্লোর বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা আয় করছে।

ভিভো বিল্ডার্স কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২২ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ভিভো বিল্ডার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন ভবনের বর্তমান মালিক মোসলেমা আক্তার মির্জা ও তার সন্তানেরা। পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে চুক্তির ৬ কোটি টাকার মধ্যে দুই কোটি টাকাও বুঝে নেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভাঙতে দেওয়া হচ্ছে না। যে কোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে-এমন প্রশ্নও উঠছে।  

আজ বুধবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি উত্থাপন করেছেন ভিভো বিল্ডার্সের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মনসুর। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, এমডি মো. জুয়েল মুন্সী। 

লিখিত বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেন, ২০১৯ সালে লিলি প্লাজা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে হাইকোর্ট, রাজউক, সিটি কর্পোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। হইকোর্ট এবং সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিটি কর্পোরেশন ভবনের গায়ে একটি সাইনবোর্ডও লাগিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ভবন মালিককে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়। এরপর লিলি প্লাজার বর্তমান মালিক ও তার সন্তানরা ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করার জন্য ভিভো বিল্ডার্সের সাথে ৬ কোটি টাকা সাইনিং মানি হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হন। যার মধ্যে দুই কোটি টাকা তাদের দেওয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা এই ঝুকিপূর্ণ ভবন থেকে ভাড়াটিয়াদের সরাচ্ছেন না। উল্টো ভিভো বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হায়রানি করছে। যাতে করে চুক্তির দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে জরাজীর্ণ ভবন থেকে আয় করতে পারেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভিভো বিল্ডার্স কর্তৃপক্ষ।

জেইউ/এনএফ