একটি রাজনৈতিক দলের ৩০০ আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রত্যাশা ছিল। এরপর আমরা সবকিছু বুঝেশুনে ১৫০টা আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে ইভিএমে ভোট করতে সরকারের কাছে চাওয়া অর্থের প্রস্তাবে তারা রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম থেকে আমরা সরে এসেছি। তবে বাজারে আছে যে, ইভিএম ব্যবহার নাকি আমরা চাপে করছি না। ইভিএম নিয়ে আমরা কমিশন দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। প্রথমে আমাদের কোনো একটা দলের প্রত্যাশা ছিল ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহার হবে। সবকিছু বুঝেশুনে ১৫০টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। ইভিএমের নির্বাচনে কোনো কারচুপির অভিযোগ পাইনি। ম্যালফাংশনের কথা বলা হয়েছে। এটা একেবারেই সত্য নয়। আমরা পুরোপুরি বিশ্বাস। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস দিয়ে তো হবে না, যদি অংশ না নেয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে যদি আমরা অর্থ পেতাম তাহলে আমরা করতাম (ইভিএমে নির্বাচন)। ৯ হাজার কোটি চেয়েছিলাম, সেটা যদি পেতাম তা দিয়ে করতে পারতাম। সেটাতে সরকার রাজি হয়নি। এরপর মেরামতের জন্য ১২০০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম, সেটাতেও সরকার বিভিন্ন কারণে রাজি হয়নি। 

ইভিএম বাতিল হলে কী করে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, শতভাগ সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করা ইভিএমেও যেমন পুরোপুরি সম্ভব নয়, ব্যালটেও পুরোপুরি সম্ভব নয়। বিষয়টা আপেক্ষিক হতে পারে। অধিকতর ভালো, যেটা আমরা সব সময় বিশ্বাস করেছিলাম যে ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে ভোটটা অনেক বেশি নিরাপদভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয়। কাজেই শতভাগ নিশ্চিত করার কথা আমি বলতে চাচ্ছি না। 

তিনি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল কিনা, সেটা আমরা এখনও বলতে পারবো না। আমরা প্রথম থেকে বলেছি সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস শেষ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। আমরা জোর করে কাউকে আনতে পারছি না। কিন্তু আপিল আমরা করেই যাবো। আমাদের কথায় যে সাড়া দেবেন তাও নয়। সংকট সরকারের সঙ্গে দলগুলোর হয়ে থাকে বা সরকারি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের হয়ে থাকে। আমরা বলবো রাজনৈতিক সেই সংকটগুলো আপনারাই নিরসন করে নির্বাচনকে সহজ এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য অনুকূল করে দেন।’

এসআর/এনএফ