আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে জামানত কত, তা প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে- স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালার ১৩ বিধি অনুসারে (১) মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অনধিক পাঁচ লক্ষ ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য বিশ হাজার টাকা, পাঁচ লক্ষ এক থেকে দশ লক্ষ ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ত্রিশ হাজার টাকা, দশ লক্ষ এক থেকে বিশ লক্ষ ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বিশ লক্ষ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য এক লক্ষ টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফশিলি ব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে।

(২) কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অনধিক পনেরো হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের জন্য দশ হাজার টাকা, পনেরো হাজার এক থেকে ত্রিশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের জন্য বিশ হাজার টাকা, ত্রিশ হাজার এক থেকে পঞ্চাশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের জন্য ত্রিশ হাজার টাকা এবং পঞ্চাশ হাজার এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোন তফশিলি ব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে।

(৩) সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দশ হাজার টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোন তফশিলি ব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে; তবে শর্ত থাকে যে- কোনো প্রার্থীর অনুকূলে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল হলে একাধিক জামানতের প্রয়োজন হবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, রিটার্নিং অফিসার জমাকৃত জামানতের অর্থ ০৭(সাত) কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি ট্রেজারিতে জমা প্রদান করবেন। রিটার্নিং অফিসার বা কোনো প্রার্থী কর্তৃক টাকা জমাদানের খাত হলো- ৬/০৬০১/০০০১/৮৪৭৩।

নির্ধারিত সময়ে জামানতের টাকা সরকারি ট্রেজারিতে জমা প্রদানপূর্বক এর একটি হিসাব বিবরণী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

এছাড়া বিধি-বিধানের আলোকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে দশ হাজার টাকা এবং ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মেয়র ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে জামানতের অর্থ নির্ধারণপূর্বক রিটার্নিং অফিসার স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রচার করবেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে।

এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কারণ আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।

এসআর/এমজে