ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক মৃত্যু হলেও তিনি তার কর্মের মাধ্যমে অমর হয়ে থাকবেন। স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তার মহান কীর্তিগুলো চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্ম ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষ পরিচিত ছিলেন। যারা তাকে নিবিড়ভাবে দেখেছেন তাদের কর্তব্য নতুন প্রজন্মের কাছে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবন তুলে ধরা।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন রচনায় বুদ্ধিজীবী মহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ধারণ করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তার জীবনী থেকে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়।

বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়ার পর সবার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। পরে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতারা, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহু বছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

/এমএম/এসএসএইচ/