পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা
সিটিটিসির সর্বাধিক প্রযুক্তিগত রোবটিক মহড়া অনুষ্ঠিত
বাংলা নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষ্যে রমনা বটমূলে আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে ডিএমপির সিটিটিসির এসএজি কর্তৃক নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলে এ নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
নিরাপত্তা মহড়ায় সিটিটিসির ৩টি ইউনিট সোয়াট, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং কে-৯ অংশগ্রহণ করে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মহড়া পরিদর্শন করেন।
কাল্পনিক বোমা হামলার অবয়ব সাজিয়ে বৃহস্পতিবার বটমূলে ব্যতিক্রমী এক মহড়া আয়োজন করে সিটিটিসি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের মহড়ায় দুই রোবটের পাশাপাশি টোটাল কনটেইনমেন্ট ভেসেল (টিসিভি) ব্যবহার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহমতুল্লাহ চৌধুরী জানান, পহেলা বৈশাখ উদযাপনকালে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রহিতকরণে ডিএমপি কতটা তৎপর এটি ছিল আজকের মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য।
একই সাথে অস্ত্র বোমা বা যেকোনো ধরনের হুমকি জঙ্গি তৎপরতা নির্মূলে সিটিটিসি কতটা সমর্থ তারও একটি বার্তা প্রদান করে আজকের এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। মহড়ার প্রথমেই দুজন সন্ত্রাসী অস্ত্র হাতে গুলি ও বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে রমনায় প্রতীয়মান হয়। তাৎক্ষণিক সোয়াট সদস্যরা তাদেরকে নিরস্ত্র ও গ্রেপ্তার করে।
অভিযানকালে সোয়াট সদস্যরা সেখানে আইইডির উপস্থিতি বুঝতে পারে। পরবর্তীতে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রাপ্ত বোমটি বেশ শক্তিশালী হওয়ায় ও ঘটনাস্থলে ধ্বংস করলে জান মালের ক্ষতি সাধন হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় টিম উক্ত আইইডি রোবটের মাধ্যমে টিসিভিতে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে নিষ্ক্রিয় করে।
অভিযানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন টিসিভি ব্যবহার করা হয়। যা যেকোনো ধরনের সিবিআরএন পদার্থ নিরাপদে বহন করতে সক্ষম। তাছাড়া যে বোম সুইট ব্যবহার করা হয় তা সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পূর্ণ। সম্পূর্ণ বোম অপারেশনটি সোআর্ম রোবটের মাধ্যমে রিমোটলি পরিচালনা করা হয়। যা দেশের ইতিহাসে এই প্রথম।
সবশেষে কে-৯ এর একটি টিম ঘটনাস্থল সুইপিং করে এবং আরো একটি আইইডির সন্ধান পায়। যা পরবর্তীতে বোম ডিসপোজাল ইউনিট রোবটের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে।
জেইউ/ওএফ