আমার দুইটা দোকান ছিল। মা এন্টারপ্রাইজ ও বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ। দুইটা দোকানই পুড়ে গেছে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। ক্যাশে ছিল ৬০ হাজার টাকা। সব পুড়ে শেষ।

কান্না চেপে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায়ী নাসিমা চৌধুরী। তার মতো নিউমার্কেট অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আরো অনেক ব্যবসায়ী। এছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে মার্কেটের গোডাউন ভর্তি পণ্য তোলা হয়েছিল,কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সব শেষ।

ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এখানে তিনটা দোকান ছিল। এক দোকানের মালামাল বের করতে পারলেও অন্য দুই দোকান পুড়ে গেছে। দুই দোকানে মালামাল ছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। আমার মতো অনেকেই মালামাল বের করতে পারে নাই। তাদের ক্ষতি হইছে আরো বেশি।

এদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, নিউ সুপার মার্কেটে লাগা আগুনে আড়াইশটির মত দোকান পুড়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা।

তিনি বলেন, আগুন লাগা নিউ সুপার মার্কেটের তিন তলা ভবনে ১২শটির মতো দোকান রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ধারণ করছি- প্রায় ২৫০টির মতো দোকান পুড়ে গেছে। কারণ এক পাশ আগুনে একেবারে পুড়ে গেছে। এছাড়া অনেকগুলো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভেতরে ঢুকলে আসল চিত্রটি জানা যাবে। আমরা এখনো ভিতরে ঢুকতে পারিনি।

ওএফএ/এমজে