ঘণ্টা চারেক আগুনে পুড়েছে রাজধানীর ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট। তাতেই সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেটের ভেতরে ঢুকে দেখছেন সব শেষ। যে কাপড়গুলো পোড়েনি সেগুলোও নষ্ট হয়েছে পানিতে ভিজে।

এই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নিউ মার্কেট থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে ২৭টি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শফিকুল গনি সাবু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুনের ঘটনায় দেখেছেন নিউ মার্কেট থানা পুলিশ কি পরিমাণ সহযোগীতা করেছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর পুলিশের জিম্মায় মার্কেটের নিরাপত্তা দায়িত্ব অর্পন করে গেছে। সব মিলে দুদিন খুবই ব্যস্ততা গেছ।

গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী ও অনেক ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী থানায় ভিড় করেন। একেকজনের একেক ধরনের অভিযোগ। কারও টাকা পুড়েছে, কারও দোকান, কারও এনআইডিসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট। সব মিলে ২৭টি জিডি হয়েছে।  

গত শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে এই আগুনের ঘটনায় প্রণোদনার চেয়ে দ্রুত মার্কেটের ব্যবসায়িক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার আমাদের কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সে বিষয়ে আমাদের ধারণা আছে। এ দিয়ে ঋণ পরিশোধ তো দূরের কথা দোকানের সংস্কার কাজও করতে পারব না। তাই ব্যবসায়ীদের বাচাঁতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেটে ব্যবসায়িক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। তা না হলে সব সম্পত্তি বিক্রি করেও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারব না।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, মার্কেটটির ফায়ার সেফটি সিস্টেম অত্যন্ত দুর্বল ছিল। ব্যবসায়ীরা সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি দোকান বরাদ্দ নিয়ে করিডোরে আরও দুই-তিনটি সাব দোকান দিয়েছিলেন। যার কারণে করিডোরগুলো খুবই সংকীর্ণ হয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে কাপড়ের মাধ্যমে আগুন ছড়িয়েছে। এছাড়া মার্কেটের ফলস ছাদ, উপরে প্লাস্টিক আইটেম ও ব্যানার-পোস্টারের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসব ব্যানার-পেস্টুনের বিষয়ে আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার।

জেইউ/এনএফ