ঈদের ছুটি শেষ হলে আসন্ন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিতে পারবেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

গত ৩ এপ্রিল ‘কমিশন সভায়’ এই দুই সিটি নির্বাচনের ভোটের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে ইসি সচিব ভোটের তফসিলের বিবরণ সাংবাদিকদের পড়ে শোনান। ইসি সচিবের ঘোষিত ওই বিবরণটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।

সোমবার (১৭) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইসি সচিবের ঘোষিত ওই বিবরণটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেন।

তিনি বলেন, আমরা মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন ভবন থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়ন ফরম সরবরাহ করব। কালকের পর তো অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ঈদের ছুটি শেষ হলে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা মনোনয়নপত্র নিতে পারবেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ১৬মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন।

ভোট চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পুরো ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। আর প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।

খুলনা সিটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। এই দুই সিটিতেই নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১১ অক্টোবর। এজন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আসছে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।

এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিলের আগেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। এই সিটি ভোটের মনোনয়ন ফরমও ঈদের পর প্রার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

এসআর/এমজে