ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ
রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১০ বছরেও কর্মক্ষেত্রে অনিরাপদ শ্রমিকরা
রানা প্লাজা ভবন ধসের ১০ বছরেও পোশাক কর্মীদের জন্য নিরাপদ কারখানা নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির এ ক্ষোভ জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ঘটনার পর বছর দুয়েক নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কারখানা কাজ করছে। তবে ডিউটি চলাকালীন এখনও ভবনে তালা মেরে রাখা, নিম্নমানের ভবনে কারখানা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার মতো বিষয়গুলো বিদ্যমান।
তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে পোশাক কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা যেমন- বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আগুন নির্বাপণ, বিল্ডিং কোড মানা, শিশু যত্নকেন্দ্র আছে কি না সেগুলো বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত নেই। যে শ্রমিকের হাত ধরে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, সেই শ্রমিকের জীবন রক্ষার কথা সংশ্লিষ্ট কেউই ভাবে না। বিষয়টি দুঃখজনক।
বিজ্ঞাপন
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে নিরাপদ কর্মক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিকদের অধিকার। কিন্তু শ্রমিকদের সে অধিকার নিশ্চিত না করে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে বাধ্য করা অপরাধ। এমন অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সাভার বাস স্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে দেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ১১৭৫ জন পোশাক শ্রমিক নিহত ও দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। যা বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
জেইউ/কেএ