আহত সিআইডির ইন্সপেক্টর গাজী মিজানুর রহমান

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমানকে (৫২) কুপিয়ে জখম ও পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। 

রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে মিজানুর রহমান হামলার শিকার হন। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সরকারি অস্ত্র এবং গুলি ভর্তি পিস্তল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। 

মিজানুর রহমানকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে এ সময় কেয়ারটেকার গোলাম মোস্তফাকেও (৫০) কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। আহত মিজানুর ও গোলাম মোস্তফাকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। গাজী মিজানুর রহমান বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। 

রোববার রাতে তার স্ত্রী রেহানা গাজী বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা (মামলা নম্বর-৯৫) দায়ের করেন। মামলায় যে তিন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- শামীম, শাহ আলম ও জামিল।

রোববার দিনগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গাজী মিজানুর রহমানের খোয়া যাওয়া ৮ রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। 

পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, ঘটনার পর আসামিদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে একাধিক টিম নিয়ে কাজ শুরু হয়। গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে খোয়া যাওয়া অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় এখনই বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, রোববার (২১ মার্চ) দুপুর দেড়টায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান তার প্লটে কাজ করতে গেলে হঠাৎ আমিন মোমিন হাউজিংয়ের শাহ আলম ও জামিলসহ ৭-৮ জন এসে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করেন। এতে তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচে ভেঙে যায়। তার মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়, মাথায় ২৬টা সেলাই দিতে হয়েছে।  

মিজানুর রহমানের স্ত্রী রেহানা গাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামী অফিসিয়াল কাজে বাসা থেকে বের হন। যাওয়ার পথে তিনি প্লটটিতে কাজের অগ্রগতি দেখতে যান। ৫ কাঠার প্লটটি আমার একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে গাজী রুদ্র রায়হানের নামে। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে তারা এত বড় ঘটনা ঘটাতে পারে ভাবা যায় না। একজন পুলিশের যদি এই অবস্থা করতে পারে, তাহলে তারা (হামলাকারীরা) কি না করতে পারে। সঠিক বিচার চেয়ে অপরাধীদের আইনের আওতার আনার দাবি জানান তিনি।

ইন্সপেক্টর গাজী মিজানুর রহমান নারায়ণগঞ্জ জেলার সিআইডিতে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ধলইতলা গ্রামে।

এইচকে