‘ঈদ শেষে বাড়ি থেকে এলাম। ট্রেনের ভেতর কোনো ভিড় ছিল না। স্বাভাবিক যাত্রী নিয়েই ট্রেন আসছে। এবারই প্রথম ঈদে বাড়ি যেতে-আসতে কোনো ভোগান্তি হয়নি। স্বস্তি নিয়েই যাতায়াত করেছি।’

কমিউটার ট্রেনে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় আসা রাসেল এভাবেই তার ট্রেনে ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন। অন্য যাত্রীদেরও এবারের ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা প্রায় একই।

ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহে ভোগান্তি কমাতে প্রথমবার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিক্রি হয়েছিল ১০ দিন আগের আগাম টিকিট। প্রধান প্রধান স্টেশনগুলোতে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ ব্যবস্থাও।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার (২৪ এপিল) থেকে অফিস-আদালত শুরু হওয়ায় কর্মজীবীরা অনেকেই ঢাকায় ফিরেছেন। এর বাইরেও যাদের এক বা দু'দিন অতিরিক্ত ছুটি নেওয়া আছে তারাও ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আবার ঈদের ছুটি শেষে অনেক সহকর্মী কর্মস্থলে ফেরায় অনেকে এখন বাড়ি যাচ্ছেন। তাতে কর্মব্যস্ত থাকছে রাজধানীর প্রধান এ রেলস্টেশন।

তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রী শ্রাবণী বলেন, বাসের থেকে ট্রেন জার্নি অনেক আরামদায়ক। আমি সবসময় প্রেফার করি ট্রেন। কোনো কারণে টিকিট না পেলে তখন অন্য ব্যবস্থা করি। এবারের ঈদ ভ্রমণ সত্যিই আরামদায়ক ছিল।

ঢাকা থেকে যাত্রা করা শামিউর রহমান কানন বলেন, আমাদের শিফটিং ডিউটি ছিল। তাই ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। আজ থেকে ৫ দিনের ছুটি পেয়েছি, পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে বাবা-মা আছেন। তাদের ছাড়া ঈদ উদযাপন করতে খারাপ লাগে। কিন্তু কর্মের তাগিদে কিছু করার থাকে না। এখন বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কয়েকদিন কাটিয়ে আসবো।

কাননের মতো আরও অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন ঈদের ৪ দিন পরেও। প্রতিটি ট্রেনে অন্তত ৫০-৬০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত (সাড়ে ১০টা) দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় ৬টি লোকাল ও ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় এসেছে পৌঁছেছে। সারাদিনে ঈদ স্পেশালসহ ৫৪ জোড়া ট্রেন চলাচলের শিডিউল আছে।

এমএইচএন/জেডএস