রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

কমিশন মনে করে গ্যাসের সরবরাহ লাইনে চাপ স্বাভাবিক রাখাসহ সরবরাহ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা না হলে ব্যাপক জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এছাড়া একের পর এক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ফলে মানুষের প্রাণহানিসহ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। 

বুধবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপলাইন, গ্যাসলাইনের ছিদ্র শনাক্ত করার জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিনের অভাব, অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে যত্রতত্র ছিদ্র হওয়া, তিতাসের সঞ্চালন লাইনে ক্রটি ও যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী বলে কমিশন মনে করে। 

এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তা রাজধানীবাসীর জন্য তা চরম হুমকি বয়ে আনবে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।

এমতাবস্থায়, গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ক্রটিসমূহ সনাক্ত করে সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব সতর্কতা হিসেবে যেকোনো আকস্মিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অনুরোধ করা হয়েছে।

জেইউ/এফকে