ঈদের ছুটি শেষে গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) খুলেছে অফিস-আদালত। ঈদের পর তিন কর্মদিবস পারও হয়েছে। এরমধ্য বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) শেষ কর্মদিবস হলেও, এদিন সকালেও ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ দেখা গেছে গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুরে। মূলত উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রী নিয়ে এখানেই যাত্রা শেষ করে।

এদিন ভোর থেকে গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুরে বাসগুলোকে কাউন্টার সংলগ্ন স্থানে যাত্রীদের নামাতে দেখা গেছে। মূলত যারা ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার বাসের টিকিট পাননি, পাশাপাশি ঈদের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে যারা অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছিলেন তারাই  ফিরছেন। কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ঢাকার বিভিন্ন বাসে শনিবার পর্যন্ত যাত্রীর চাপ আছে। আর সেই টিকিটগুলো আগেই বিক্রি হয়ে আছে।

নাটোর থেকে দেশ ট্রাভেলসের বাসে সকালে গাবতলীতে নেমেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাজেদুর রহমান। আলাপকালে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছিলাম, যে কারণে পরিবারসহ আজ ঢাকায় এলাম। আজ থেকে অফিস করবো। আসলে আমাদের বাড়ি দূরে, যাওয়া আসাতেই দুই দিন শেষ হয়ে যায়। তাই প্রতিবারই অতিরিক্ত ছুটি নিতে হয়।

লালমনিরহাট থেকে আসা শাহ আলী পরিবহনের যাত্রী মনিরুল ইসলামও সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, ঈদের এই কয়দিনে এত যাত্রীর চাপ যে ঢাকায় আসার বাসের টিকিট পাচ্ছিলাম না। গতকাল মধ্যরাতের টিকিট পেয়েছি, তাই পরিবারসহ আজ ঢাকায় এসে পৌঁছালাম। আমাদের ওইদিকের বাসগুলোতে ঈদের সময় প্রচণ্ড যাত্রী চাপ থাকে, তাই টিকিট পাওয়া মুশকিল হয়ে যায় এসময়।

কুড়িগ্রাম থেকে আসা হক পরিবহনের যাত্রী নাজিম উদ্দিন বলেন, ঈদের আগের দিন পরিবারসহ বাড়িতে গিয়েছি, তাই ঢাকায় ফিরতে অতিরিক্ত দুই তিনদিন সময় নিলাম। ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্ত্রী-সন্তানসহ ভাড়া বাসায় থাকি, আর একটি দোকানে চাকরি করি। আমাদের বাড়ি দেশের একদম শেষ প্রান্তে হওয়ায় ঈদের সময় যাওয়া-আসায় খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর হয়ে ঢাকায় আসা ন্যাশনাল ট্রাভেলস বাসের সুপারভাইজার আমিনুল ইসলাম বলেন, ঈদের পরের দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বাসের প্রায় সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকায় ফেরার যাত্রী চাপ প্রচুর। এই চাপ বলতে গেলে আগামী শনিবার পর্যন্ত থাকবে। আজকেও ভোর থেকে যেসব বাস দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছাচ্ছে, তার প্রতিটি বাসেই আছে যাত্রীচাপ। প্রতিটি বাস যাত্রীতে পরিপূর্ণ। আগামী দুই তিনদিন ঢাকায় আসা মানুষের চাপ থাকবে, এরপর থেকে হয়তো বা যাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু করবে।

এএসএস/জেডএস