পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হয়েছে গত ২২ এপ্রিল। এ উপলক্ষ্যে ৫ দিনের ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলেছে ২৪ এপ্রিল। শুরুর দিকে যাদের একান্ত প্রয়োজন, শুধু তারাই পরিবার ছাড়া ঢাকায় ফিরে এসেছেন। সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে এখনো পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ঢাকায় ফিরছেন। ঢাকায় ফেরার পাশাপাশি এখনও বহু মানুষ নানা প্রয়োজনে রাজধানী ছাড়ছেন।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনের প্রতিটি প্লাটফর্মে বসে ঢাকা ছাড়তে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ। শুধু ঈদ পরবর্তী না, আরও ভিন্ন কাজে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। অন্যদিকে কোন ট্রেন গন্তব্য থেকে প্লাটফর্মে এসে থামলে মনে হয় ঢাকায় ফেরার স্রোত নেমেছে মানুষের।

আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ৫ নাম্বার প্লাটফর্মে থামে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি ট্রেন। ট্রেন থামতেই প্রতিটি বগি থেকে নামতে শুরু করে হাজারও মানুষ। যেন মানুষের ঢল নেমেছে প্লাটফর্মে।

ওই ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে আসেন নাভিদ রহমান হিমু। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, যানজট এড়াতে ঈদের অনেক আগেই বাড়ি গিয়েছিলাম, আজ ফিরলাম। আমার হাজবেন্ড আরও ৩ দিন আগে এসেছেন। সন্তান সামলে সবসময় বাড়ি যাওয়া হয় না।

তিনি আরও বলেন, ট্রেন আজ দেড় ঘণ্টার বেশি সময়ের মতো লেট করেছে। ট্রেনের ভেতর দাঁড়ানো যাত্রী পাইনি। এছাড়া সবকিছু ঠিকঠাক ছিল।

মাসুদুল ইসলাম মুরাদ বলেন, ঢাকায় ফিরতে তেমন কোন অসুবিধা হয়নি। যতটা মানুষের চাপ হবে বলে আশা করেছিলাম, তত মানুষ ছিল না। ঈদ পালিত হয়েছে আরও সপ্তাহখানেক আগে। ছুটি শেষে আস্তে আস্তে সবাই ঢাকায় ফিরেছেন। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হওয়াতে চাকরিজীবীদের মতো ঈদের পরদিনই ছুটে আসতে হয়নি।

শুধু ঢাকায় ফেরা নয়, ঢাকা ছেড়েও যাচ্ছেন অনেকে। কয়েকদিন আগেও যে যাত্রা ঈদ পরবর্তী যাত্রা ছিল, সেটি এখন আর নাই। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা ছাড়ছেন নানা কাজে।

জামালপুরগামী মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাবা-মা আমার সঙ্গেই ঢাকাতে থাকেন। ঈদ পরিবারের সঙ্গে ঢাকাতেই কেটেছে। পারিবারিক কাজে গ্রামের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। 

রংপুরগামী শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, ঈদ সময়টা ঢাকাতেই ছিলাম। অফিসের প্রয়োজনে ডিউটি করতে হয়েছে। বাড়িতে অনেকগুলো কাজ আছে। ৫ দিনের ছুটিতে আজ রওনা হচ্ছি।

এমএইচএন/এমজে