ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন ৪৬ জন কর্মকর্তা।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঈদ পরবর্তী এ মিলনমেলার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

সেখানে কমিশনার নিজের বক্তব্যে বলেছিলেন, আমরা ডিএমপি পুলিশ দুই কোটি নগরবাসীর নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা ব্যস্ত থাকি। শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই পরিশ্রান্ত থাকি। ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা, যাতায়াতের ব্যবস্থা করা এবং ফাঁকা মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিএমপি পুলিশ এখনো কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো ছুটিতে যেতে পারেনি। তাই আমরা আজকের দিনে ডিএমপি পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একত্রে মিলিত হয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেছি।

তবে সেই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বেশ কিছু অধঃস্তন কর্মকর্তার বরাদ্দকৃত চেয়ার খালি দেখে সংক্ষুব্ধ হন কমিশনার। অনুপস্থিত থাকায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় ডিএমপির ওই ৪৬ জন কর্মকর্তাকে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে শোকজ করা ৪৬ কর্মকর্তার মধ্যে এডিসি পদমর্যাদার একজন ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে বলেন, ডিএমপিতে কর্মরত ২৯ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ১৭ জন সহকারী পুলিশ সুপারকে শোকজ করা হয়েছে। তারমধ্যে আমিও একজন। আমি পারিবারিক সমস্যার কারণে উপস্থিত থাকতে পারিনি।

শোকজ নয়, অনুপস্থিত থাকার কারণ বা ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ৪৬ জনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এ হাফিজ আক্তার। 

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২৩ এপ্রিল উদযাপিত হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঈদ পুনর্মিলনী।

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ঈদ পরবর্তী মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন; ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আমাদের চারশর মতো অফিসার। এমন একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও তাদের কেউ কেউ উপস্থিত ছিলেন না। আমাদের নিজেদের অনুষ্ঠান। আমাদের কিছু অফিসার উপস্থিত ছিলেন না, চেয়ার খালি দেখাটা দৃষ্টিকটু ছিল বটে।

কমিশনার সংক্ষুব্ধ ছিলেন ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অনুষ্ঠানে, এমনটি জানা গেছে। এ ব্যাপারে হাফিজ আক্তার বলেন, দৃষ্টিকটু একটা ব্যাপার। কমিশনার খোঁজ নিয়ে জানতে বললেন, কে কে আসেননি? কেন আসেনি?

তিনি বলেন, বিষয়টি একেবারেই দাপ্তরিক। এটি শাস্তির উদ্দেশে বা শাস্তিমূলক বিষয় নয়। জাস্ট ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা, কারণটা জানা এবং অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের বার্তা দেওয়া যে, তোমরা আসোনি। 

জেইউ/এফকে