বেঁচে থাকার জন্য শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।

মে দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বিবৃতিতে জানান, আমাদের দেশে শ্রমিকরা সবচেয়ে অবহেলিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত। প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার জন্য তাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। মালিক ও রাষ্ট্রের যৌথ জাঁতাকলে পড়ে তাদের জীবন-যাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দুই বেলা কোনোমতে খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য তারা দিনরাত অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছে। পৃথিবীতে আজ পুঁজিবাদের উন্মুক্ত চর্চা চলছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নেই। এক শ্রেণির মালিকরা সম্পদ বৃদ্ধির নেশায় মগ্ন হয়ে আছে। ফলে ১৮৮৬ সালে শোষণের যে চিহ্ন ছিল আজকের দিনে তার রূপ বদল হলেও ভেতরের ভয়াবহতা ঠিকই থেকে গেছে। আজও শ্রমিকদের দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হয়। এখনো শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। এখনো শ্রমিকরা শ্রেণি বৈষম্যের নামে অবহেলা ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে। সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের ন্যূনতম মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ শ্রমিকের রক্ত-ঘামে রাষ্ট্রের চেহারার উন্নয়ন ঘটছে। তা সত্ত্বেও রাষ্ট্র শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে নিশ্চুপ।

তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব খাতের শ্রমিকদের সমান অবদান আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা যৎ সামান্য অধিকার পেলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা শূন্যের ঘরে রয়ে গেছে। অপরদিকে নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের মজুরির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়ে গেছে। আমরা সমকাজে নারী ও পুরুষের মজুরি সমান চাই। একই সঙ্গে সব খাতের শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমজীবী মানুষদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষসহ দেশবাসীর প্রতি নেতারা আহ্বান জানান।

এআর/জেডএস