প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৪৯ লাখ ১১ হাজার ৯০২ জন। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৭৩৩ জন এবং নারী ১৮ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯ জন। এর মধ্যে মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, হালকা জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ৯১৭ জনের।

সোমবার (২২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৯৩৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ২১১ জন, আর নারী ৩০ হাজার ৭২২ জন।

অধিদফতর জানিয়েছে, মোট টিকা নেওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের দুই লাখ ২৩ হাজার ১৯৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৫ জন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ২০৯ জন, রংপুর বিভাগের চার লাখ ৮৮ হাজার ৩১ জন, খুলনা বিভাগের ছয় লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৮ জন, বরিশাল বিভাগের দুই লাখ ২০ হাজার ২৫৭ জন, আর সিলেট বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এদিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।

২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩০ জনের মৃত্যু

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৭২০ জনে। গত ৭ জানুয়ারির পর ভাইরাসটিতে এক দিনে দেশে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। সেদিন মৃত্যু হয়েছিল ৩১ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮০৯ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৭ জনে। গত বছরের ২০ আগস্টের পর এটিই করোনায় দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। সেদিন ২৮৬৮ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

টিআই/জেডএস