মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত জানালার কাচ

বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেলের জানালায় ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের একটি কোচের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে এরইমধ্যে থানায় অভিযোগ করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

সোমবার (১ মে) দুপুরে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল অ্যান্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা এরকম কোনো একটা সময়ের মধ্যে আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনগামী একটি মেট্রো ট্রেন কাজীপাড়া স্টেশনের ঢোকার মুখে একটি জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনের ঠিক দক্ষিণ প্রান্তের ঘটনা। যখন ট্রেনটি স্টেশনের ঢুকতে যাচ্ছে, ঠিক এমন সময় বিকট একটি আওয়াজে জানালার কাচটি ভেঙে যায়। ট্রেন ছিল পশ্চিম দিকের ট্র্যাকে, আর পূর্ব দিক থেকে ঢিল আসে। যার ফলে ট্রেনের পূর্ব দিকের একটি কাচ ভেঙে গেছে। যিনি এই রিপোর্ট (কাচ ভাঙার) প্রথম করেছেন, তার ভাষ্যমতে এটি কাজীপাড়া স্টেশনে ঢোকার ঠিক একটু আগে ঘটে।

মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা সঠিক লোকেশনটা গতকালকে বের করার চেষ্টা করেছি। পুলিশের কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন, তারা ফাইন্ড আউট করার চেষ্টা করছেন, কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো।

ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। কহিনূর সুলতানা নামে একজন লিখেছেন, বুঝলাম না ঢিল ছুড়ে কি পেলো, কারই বা লাভ হলো। এখন তো এই মেট্রোরেল বাংলার জনগণের। জনগণেরই উচিত এটাকে রক্ষা করা। তা না করে ধ্বংসের খেলায় কারা উল্লাসী!!! খুব খারাপ কাজ।

এ বিষয়ে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল আগারগাঁও স্টেশন থেকে শেওড়াপাড়া হয়ে কাজীপাড়া দিয়ে উত্তরা যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের একটি কাচে ঢিল ছোড়া হয়। ঘটনাটি ঘটে কাজীপাড়া বর্ডার এলাকায়। এই বিষয়ে গতকাল একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। অভিযোগটি আজ মামলা আকারে দায়ের হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি কোন আইনে মামলাটি করা যায়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম জোরালোভাবে কাজ করছে। কোথায় থেকে ঢিলটি মারা হয়েছে এবং কারা এই কাজটির সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। অভিযুক্তরা শনাক্ত হলেই তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এমএইচএন/এমএসি/জেডএস