শিল্পের উন্নয়ন হলে দেশের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান।

বুধবার (৩ মে) রাজধানীর উত্তরার বিসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘পরিবেশের ওপর ট্যানারি বর্জ্যের প্রভাব : উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন ট্যানারি প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মরত ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা ও আগ্রহী উদ্যোক্তাদের জন্য নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এসময় বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, বিসিক ও শিল্প মালিকদের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। মালিকদের নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন ট্যানারি সাভারে সিপিটি উন্নয়নে যাচ্ছে। শিল্প নগরী গড়ে তুলতে হলে সেখানে ল্যান্ড শ্রমিক, লোকেশন ও ট্রান্সপোর্ট থাকবে। শিল্প উন্নয়ন হলে দেশের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে। তিনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে শিল্প মালিকদের পরিকল্পনা মতো কাজ করার উৎসাহ দেন। সর্বোপরি তিনি দেশের উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। 

তিনি বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে চামড়া রপ্তানি করতে যথাযথ পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, তরল ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। কমপ্লায়েন্স ট্যানারি হতে হলে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সার্টিফিকেট থাকতে হয়। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাঁচা চামড়ার ট্রিমিংগুলো ব্যবহার করে প্রোটিয়েজ এনজাইম তৈরি করা যায়। এই এনজাইম চামড়া প্রসেসিংয়ে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ক্রোম সেভিং ডাস্ট থেকে ফার্নিচার বোর্ড তৈরি করা যায়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঢাকার হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর সাভার এখন ট্যানারি শিল্পের শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ছোট-বড় চামড়া উৎপাদনের অনেক কারখানা এখানে রয়েছে। একদিকে এই বিপুল সংখ্যক চামড়ার কারখানা যেমন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, অন্যদিকে এটি পরিবেশ দূষণের জন্য একটি বিপজ্জনক হুমকি তৈরি করছে। 

শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, চামড়া শিল্প এলাকা হাইলি টরিক। ট্যানারি মালিকদের সচেতন হতে হবে। কঠিন বর্জ্যগুলো কীভাবে উন্নত দেশের মতো ফিনিশড প্রডাক্ট হিসেবে তৈরি করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিকের অন্যান্য পরিচালকরা। এছাড়া সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌ. মো. শফিকুল আলম। 

কেএ