চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় লরি থেকে কনটেইনার ছিটকে পড়ে নিহত হওয়া দুজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন বাবা মো. ইউনুছ মাঝি (৫৯) ও তার ছেলে আব্দুর রহিম (৩০)। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মুন্সিরহাট বিষ্ণুপুর এলাকায়। তবে তারা নগরের পতেঙ্গা এলাকায় থাকতেন। তাদের মধ্যে ইউনুছ মাঝি চট্টগ্রাম সাইলোতে কর্মরত ছিলেন।

একই ঘটনায় আহত হন রিকশাচালক মোরশেদ আলম (২৭)। তিনি নগরের পূর্ব পতেঙ্গা এলাকার নুর আমিনের ছেলে বলে জানা গেছে।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার স্টিলমিল বাজার এলাকায় লরি থেকে একটি কনটেইনার ছিটকে পড়ে সড়কে চলাচল করা একটি রিকশাকে চাপা দেয়। কনটেইনারবাহী লরিটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পতেঙ্গা থানার এসএপিএল কনটেইনার ডিপোতে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় রিকশায় থাকা বাবা-ছেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আহত অবস্থায় রিকশাচালক মোরশেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ বন্দর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, লরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৪) বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় কনটেইনারটি পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেনের সাহায্যে কনটেইনারটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও অংশ নেয়। এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি রিকশাকে ক্রস করা সময় লরির ওপর থাকা কনটেইনার ছিটকে রিকশার ওপর পড়ে। এতে রিকশায় থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। এছাড়া গুরুতর আহত হন রিকশাচালক। লরিচালকের অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে কনটেইনার ছিটকে সড়কে পড়ার পর বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। তারা জানান এই এলাকায় প্রায় সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের ঘটনা না হলে সেটি অনেক সময় প্রকাশ পায় না।

ঘটনাস্থলে আসা আলী আহমদ নামে এক যুবক ঢাকা পোস্টকে বলেন, লরিতে অনেক সময় কনটেইনার ভালোভাবে বাঁধা থাকে না। আবার এই এলাকার সড়কের উল্লেখযোগ্য অংশে গর্ত রয়েছে। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এভাবে অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা কাম্য নয়। রিকশায় থাকা দুজন কি জানতেন তাদের মৃত্যু এভাবে হবে? এখন এ ঘটনার দায়ভার কে নেবে?

এমআর/জেডএস