১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমকে হত্যার ঘটনার অভিযোগে প্রায় ৪৮ বছর পর একটি মামলা হয়েছে (মামলা নং ১৮)।

বুধবার (১০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের মেয়ে ও সংসদ সদস্য (এমপি) নাহিদ ইজাহার খান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলায় নাম উল্লেখ করা একমাত্র জীবিত আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আব্দুল জলিল। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি বলেন, মাত্র মামলা হলো। মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। আমরা আগে বিষয়টি তদন্ত করি। আমাদের জানা মতে উল্লিখিত আসামি জীবিত রয়েছেন। অজ্ঞাতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত এর বেশি কিছু বলা এখন সম্ভব নয়।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ভোর ৪টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে কোনো এক সময়ে মেজর জলিলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদাকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ, কর্নেল এটিএম হায়দার ও কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এটিএম হায়দারসহ খেতাবপ্রাপ্ত চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা অভিযুক্ত হিসেবে আরও অনেকের সঙ্গে আটক হন খন্দকার নাজমুল হুদা। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেকসুর খালাস পান তিনি। কিন্তু সেনাবাহিনী থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য খন্দকার নাজমুল হুদাকে বীর বিক্রম খেতাব দেয় বাংলাদেশ সরকার। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে তাকে ভূষিত করা হয়।

জেইউ/ওএফ