ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে দেশের ২২টি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। 

শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ২২টি জেলার ডিসি ও দেশের বিভিন্ন উপজেলার ইউএনওরা অংশ নেন। 

বৈঠকে তাদেরকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সভায় আমরা অনেকগুলো বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে, ঝড়টি মোকাবিলায় তারা যেন তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। এনজিওসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য তাদের বলা হয়েছে। শুকনো খাবার, দিয়াশলাই ও মোমবাতি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, উদ্ধারকারী বোট, ট্রলার ও গাড়িগুলো এমনভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে তা যেকোনো মুহূর্তে কাজে লাগানো যায়। যদি বিদ্যুৎ চলেও যায়, কোনো কারণে যদি মোবাইলের সংযোগও নাও থাকে, তারা যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের কাজগুলো করে যান, সেভাবেই তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের এক হাজার ৬০৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ সাত হাজার ১০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

ঘূর্ণিঝড় মোখা সংক্রান্ত আবহাওয়ার একাদশ বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আরও এগিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এসএইচআর/কেএ