ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ৬২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার ২২৭ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

বিকেলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৩৫টি গরু ও মহিষ, ১ হাজার ৩৯৫টি ছাগল ও ভেড়া এবং ১ হাজার ২৯৫টি অন্যান্য গবাদিপশুকে আনা হয়েছে। 

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে সিপিপি বাস্তবায়ন বোর্ডের এক জরুরি সভা দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। 

সভা শেষে ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে আশঙ্কা করছি, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। 

জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কত হতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দুই থেকে তিন মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এসএইচআর/জেডএস